নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : ক্ষোভের আঁচ বুঝতে পেরেই ফের পুরানো দায়িত্বে ফিরিয়ে দেওয়া হল বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি কেষ্ট মন্ডল ওরফে অনুব্রত মন্ডলকে । সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচন কে উপলক্ষ্য করে তৃণমূল সাংগঠনিক পদে রদবদল করে । সেখানে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্ৰাম , কেতুগ্ৰাম ও মঙ্গলকোট বিধানসভার পর্যবেক্ষক হিসাবে অনুব্রত মন্ডলকে সরিয়ে ভাতার বিধানসভার বিধায়ক সুভাষ মন্ডলকে কো - অর্ডিনেটর এর দায়িত্ব দেওয়া হয় । এই ঘোষনার পরেই ওই এলাকা গুলোতে ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে । গুসকরা বাসস্ট্যান্ডে রীতিমতো সভাও করেন তৃণমূল কর্মী সহ নেতৃত্বরা । সুভাষ মন্ডল নয় চাই অনুব্রত মন্ডলকেই এই দাবী তুলে সোচ্চার হন সকলেই । স্বাভাবিক ভাবেই দায়িত্ব পাবার পরে পরেই দলের কর্মীরা এভাবে বিদ্রোহ ঘোষনা করবে তা বুঝে উঠতে পারননি খোদ সুভাষ মন্ডল সহ দলের উচ্চ নেতৃত্ব । বারবার দলের নেতৃত্বের কাছে অনুব্রত মন্ডলকেই চাই এই দাবী জোরালো হতে শুরু করে । তৃণমূল কর্মীরাই সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিতে শুরু করেন । কেউ কেউ সোশাল মিডিয়াতে লিখেও দেন নিজের বিধানসভা এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল । সেটাই সামাল দিতে পারছেন না । তার উপর অনান্য এলাকার পর্যবেক্ষক ? কার্যত সুভাষ মন্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে আসে । দিন কয়েক এর মধ্যেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলো দল । কেতুগ্ৰাম , আউশগ্ৰাম ও মঙ্গলকোটের পর্যবেক্ষক হিসাবে ফের নিয়ে আসা হল কেষ্ট দা ' কে । এমনই প্রচার শুরু হয়েছে তৃণমূলের কর্মী সহ সোশাল মিডিয়ায় ।রবিবার দুপুরে দলীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে । লকডাউনের মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় জয় প্রকাশ করতে শুরু করেন তৃণমূলের ওই এলাকার কর্মীরাই । ফেসবুক , হোয়াটস অ্যাপ গ্ৰুপে আনন্দের উচ্ছ্বাস । যদিও এ বিষয়ে দলের কোন নেতৃত্ব মুখ খুলতে চাননি । দল যা ভালো বুঝেছে সেটাই করেছে বলে এড়িয়ে গেছেন সকলেই । যদিও সুভাষ মন্ডলকে যে কেউ ই চাইছিলেন না অন্তত অনুব্রত মন্ডলের পরিবর্তে তা স্পষ্ট সকলের চোখ মুখে । কেষ্ট দা ' র পরামর্শ মেনেই আবার দল কাজ করবে কেতুগ্ৰাম , আউশগ্ৰাম , মঙ্গলকোটে বলছেন দলের কর্মীরা ।
ছবি : সংগৃহিত